ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ , ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
​নিয়ামতপুরে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল কৃষকের রাণীশংকৈলে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের উদ্যোগে সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা পত্নীতলায় সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন রেলসেতুর নিচ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার নিয়ামতপৃরে বৃষ্টিতে আমন ধানের ক্ষতি, শঙ্কায় কৃষক মান্দায় হঠাৎ বৃষ্টিতে আমনসহ সবজির ব্যপক ক্ষতি শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত শেষ হলো আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা তানোরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে পুকুরে মাছ চুরির নাটক তানোরে কার্তিকের কান্নায় কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ নরসিংদীর রায়পুরায় জমি নিয়ে বিরোধ, চাচার হাতে দুই ভাই খুন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি আরইউজের প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু রেললাইনে হাঁটু পানি, ২ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস মহানগর বিএনপি’র  সভাপতি মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিটন ও  সাংগঠনিক সম্পাদক মিলু চরের ত্রাস কাকনবাহীনি’র বিচার দাবিতে বাঘায় মানববন্ধন জমির ভাগ নিতে বাংলাদেশি এনআইডি বানালেন ভারতীয় নাগরিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার ও নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের দাবি

স্ট্রোকের সময়ে প্রাণ বাঁচাতে পারে মাত্র ৬টি অক্ষর! ব্যাখ্যা করলেন চিকিৎসক

  • আপলোড সময় : ১১-০৭-২০২৫ ১২:০৮:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৭-২০২৫ ১২:০৮:১৩ অপরাহ্ন
স্ট্রোকের সময়ে প্রাণ বাঁচাতে পারে মাত্র ৬টি অক্ষর! ব্যাখ্যা করলেন চিকিৎসক স্ট্রোকের সময়ে প্রাণ বাঁচাতে পারে মাত্র ৬টি অক্ষর! ব্যাখ্যা করলেন চিকিৎসক
সেরিব্রোভাস্কুলার অ্যাক্সিডেন্টস দু’রকমের হয়, ইস্কেমিক স্ট্রোক এবং হেমার্যাজিক স্ট্রোক। দু’টিতেই তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। তবে যত ক্ষণ বোঝার ক্ষমতা থাকে, তত ক্ষণ স্ট্রোকের লক্ষণ রোগী টের পাবেন। যাঁদের বোঝার ক্ষমতা থাকে না, তখন রোগীর নিকটস্থ ব্যক্তিকেই সতর্ক হতে হবে। আর সেই বোঝার জন্য তৈরি হয়েছে ৬টি অক্ষরের শব্দ।
সেরিব্রোভাস্কুলার অ্যাক্সিডেন্টস (সিভিএ), চলতি কথায় স্ট্রোক। বলে-কয়ে আসে না। স্ট্রোক হওয়ার পর কত ক্ষণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে রোগী বাঁচবে কি না। সেখানে দেরি হয়ে গেলেই মুশকিল। আর তাই স্ট্রোক হচ্ছে কি না, তা বোঝা দরকার সময় মতো। আর সকলের বোঝার সুবিধার জন্য ৬টি ইংরেজি অক্ষরকে পাশাপাশি বসিয়ে শব্দবন্ধ তৈরি হয়েছে। অ্যাক্রোনিম বা সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকটি অক্ষরের পূর্ণরূপ রয়েছে। ‘বি’, ‘ই’, ‘এফ’, ‘এ’, ‘এস’ এবং ‘টি’। একসঙ্গে বললে, ‘বি ফাস্ট’। অর্থাৎ, ‘দ্রুত করো’। এর আগে ‘আমেরিকান স্ট্রোক সোসাইটি’ চার অক্ষরের ‘ফাস্ট’ তৈরি করেছিল। পরবর্তীকালে ‘ইন্টারমাউন্টেন হেলথকেয়ার’ সেটির সঙ্গে দু’টি অক্ষর যোগ করে।

স্নায়ুরোগ এবং নিউরো রিহ্যাবিলিটেশনের চিকিৎসক সুপর্ণ গঙ্গোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, সেরিব্রোভাস্কুলার অ্যাক্সিডেন্টস দু’রকমের হয়, ইস্কেমিক স্ট্রোক এবং হেমার‌্যাজিক স্ট্রোক। দু’টিতেই তীব্রতা অনেক বেশি থাকে। তবে যত ক্ষণ বোঝার ক্ষমতা থাকে, তত ক্ষণ স্ট্রোকের লক্ষণ রোগী টের পাবেন। যাঁদের বোঝার ক্ষমতা থাকে না, তখন রোগীর নিকটস্থ ব্যক্তিকেই সতর্ক হতে হবে। আর তাই জেনে নিতে হবে এই ৬টি অক্ষরের অর্থ। চিকিৎসক বলছেন, ‘‘সাধারণত স্ট্রোক হয় মস্কিষ্কের একটি দিকে। তখন শরীরের অন্য দিকটি অচল হতে শুরু করে। মুখ, হাত, চোখ ইত্যাদি অংশ অবশ হতে থাকে। কোন কোন অংশে কী হতে পারে, সেগুলি জেনে নেওয়া দরকার প্রত্যেকের।’’

কোন অক্ষরের কী অর্থ, দেখে নেওয়া যাক—

বি বা ব্যালান্স (ভারসাম্য): হঠাৎ শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় বলে মনে হতে থাকে। যাঁর হচ্ছে, তিনিও বুঝতে পারবেন, পাশে কেউ থাকলে তিনিও রোগীর চলন দেখে বুঝতে পারবেন।

ই বা আইজ় (চোখ): যাঁর স্ট্রোক হচ্ছে, তিনি দেখবেন, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, ক্ষীণ হয়ে আসছে। অথবা কোনও এক চোখের দৃষ্টি চলে যাবে। পাশের মানুষ দেখবেন, চোখ বুজে আসছে।

এফ বা ফেস (মুখ): মুখের এক দিক নীচের দিকে ঝুলে পড়বে। অথবা হাসতে গেলে একটি দিক কোনও মতেই নাড়ানো যাবে না।

এ বা আর্মস (হাত): হাত তুলতে গেলে পড়ে যেতে পারে। এক দিকের হাত কোনও মতেই তোলা যাবে না।

এস বা স্পিচ (কথা): অস্পষ্ট হয়ে যাবে কথা। মনের মধ্যে শব্দটা তৈরি হলেও মুখ দিয়ে বেরোবে না ঠিক মতো। সঠিক শব্দ বেছে নিতেও অসুবিধা হতে পারে। গিলতে, চিবোতে অসুবিধা হতে পারে। খাবার খাওয়ার সময়ে মুখ থেকে গড়িয়ে পড়তে পারে।

টি বা টাইম (সময়): উপরের একটি লক্ষণও যদি দেখা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে রোগীকে। ঠিক কোন সময় থেকে উপসর্গগুলি দেখা গিয়েছে, আর তার পর কতখানি সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, সবটা মাপতে থাকতে হবে। তবেই সঠিক চিকিৎসা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সময়ের বিষয়ে সুপর্ণ বলছেন, ‘‘লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরমুহূর্ত থেকে হাসপাতালে যাওয়ার সময়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাকে ইংরেজিতে বলে গোল্ডেন টাইম। অর্থাৎ, যে সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তা ছাড়া, বাঁচানো গেলেও অনেক সময়ে জটিলতা থেকে যায়। তাই আমরা বলি যত দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসবেন, ততই কম জটিলতার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা। আর সেই সময়টি হল, মাত্র ৬০ মিনিট। কিন্তু এ দেশের সুবিধা-অসুবিধার কারণে সেটি প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই সম্প্রতি এই গোল্ডেন টাইমের এই সময়টাকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ ঘণ্টা করা হয় সব দিক বিবেচনা করে। কিন্তু মাথায় রাখা উচিত, দ্রুত উন্নতির জন্য নিউরোরিহ্যাবিলিটেশনটা তাড়াতাড়ি শুরু করে দেওয়া উচিত।’’

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার

শুধু নিপীড়িত মানুষের জন্য নয়, সমবায় সবার জন্য, বিভাগীয় কমিশনার